
প্রকাশিত: Thu, Mar 2, 2023 3:23 PM আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 8:43 AM
আগামীতে বইমেলা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কতিপয় গঠনমূলক প্রস্তাব
মোরশেদ শফিউল হাসান : [১] বইমেলা পরিচালিত হবে একটি কমিটি দ্বারা। আর সে কমিটি গঠিত হবে- (ক) প্রকাশকদের প্রতিনিধি (একাধিক সংগঠন থাকলে কমিটিতে তাদের সবারই প্রতিনিধিত্ব থাকবে), (খ) জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের প্রতিনিধি, (গ) বাংলা একাডেমির প্রতিনিধি, (ঘ) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, (ঙ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা পুলিশ মহাপরিদর্শকের প্রতিনিধি এবং (চ) গণপূর্ত মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তরের প্রতিনিধি। [২] প্রতিবার বইমেলা অনুষ্ঠানের সময় কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে (একাধিকও হতে পারে) স্পন্সর হিসেবে নেয়া যাবে। সেক্ষেত্রে ওই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিও সেবারের জন্য কমিটির সদস্য হবেন। [৩] মেলায় মিডিয়া পার্টনার হিসেবে কোনো টিভি চ্যানেলকে (একাধিকও হতে পারে) নেয়া যাবে। সেক্ষেত্রে তাদের প্রতিনিধিও কমিটির অন্তর্ভুক্ত হবেন। [৪] কমিটির পক্ষে মেলা আয়োজন ও চলাকালীন সাচিবিক ও সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করবে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র। তবে তার জন্য গ্রন্থকেন্দ্রের সামর্থ্য বা লোকবল বৃদ্ধি করা জরুরি। তা না হওয়া পর্যন্ত, এবং পুরানো অভিজ্ঞতার কারণে, বাংলা একাডেমির মনোনীত কয়েকজন কর্মকর্তা এই দায়িত্ব পালন করবেন।
তবে এর দপ্তর হবে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র। উপরিউক্ত ব্যবস্থার ফলে মেলা আয়োজনে সরকারি ব্যয়ভার কমবে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলা একাডেমিও তার প্রতিষ্ঠাকালীন উদ্দেশ্য অনুযায়ী বাংলা ভাষার চর্চা ও বিকাশে যথার্থ তাৎপর্যপূর্ণ কাজসমূহ গবেষণা, সম্পাদনা, সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সংকলনে অধিক সময় ও শ্রম দিতে পারবে। বইমেলা আয়োজন যে বাংলা একাডেমির কাজ নয়, হওয়া উচিত নয়, সে ব্যাপারে সমাজে একটি ঐকমত্য আছে। এবং তা বর্তমানে প্রবলভাবেই ব্যক্ত হচ্ছে। বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যের মধ্যেও বইমেলা আয়োজনের বিষয়টি ছিল না। বইমেলার সূচনাও আসলে তাদের হাতে হয়নি। অনেকেই মনে করেন, অন্যান্য দেশের দৃষ্টান্ত অনুযায়ী, বইমেলা আয়োজনের দায়িত্বটি প্রকাশকদেরই নেয়া উচিত। কিন্ত আমাদের প্রকাশকদের মধ্যেকার দলাদলি বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, পেশাদারিত্বের অভাব, সরকারি অর্থ ও পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যবসা করার আগ্রহ ইত্যাদি নানা বাস্তবতায় ঠিক এই মুহূর্তে তা হয়তো সম্ভব নয়। আর যাঁরা একুশে বইমেলার আলাদা মাহাত্ম্য বা তাতপর্যের উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদের হাতে এই মেলার পরিচালনভার তুলে দেওয়ার বিরোধী বা বিষয়টিকে একুশের চেতনার পরিপন্থী বলে মনে করেন কিংবা সেভাবে বিষয়টিকে উপস্থাপন করেন, তাঁদেরও মন্ত্রণালয় ও সরকারি সংস্থাসমূহের অংশীদারিত্বে গঠিত একটি জাতীয় কমিটির পরিচালনায় বইমেলা অনুষ্ঠানে আপত্তি থাকা উচিত নয়। (ক্রমশঃ)। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
